ইসলামী আইনে গরু/ চতুষ্পদ জন্তু হালাল উপায়ে জবাই করা অত্যাবশ্যক। গরু হালাল জবাই মুসলিমদের জন্য গ্রহণযোগ্য একমাত্র পদ্ধতি। হালাল জবাইয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
১. কুরবানীর জন্য জবাই করতে হবে এমন চতুষ্পদ জন্তু যা মুসলমানদের খাওয়ার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত।
২. জবাইয়ের সময় অবশ্যই জীবিত থাকতে হবে।
হালাল উপায়ে পশু কোরবানি পদ্ধতি
৩. ধারালো ছুরি ব্যবহার করে জবাই করতে হবে। এমন ছুরি ব্যাবহার করা যাবেনা যার ওজন বেশি এবং ওজনের ভারেই জবাই হয়ে যেতে পারে। যদি ছুটির ওজনের প্রভাবে জবাই করা হয়, তবে সেই মাংস খাওয়া যাবেনা ।
৪. গরুর গলা, খাদ্যনালী এবং দুটি জগুলার শিরা অবশ্যই কাটতে হবে। ছুরি তোলা যাবেনা, একবারেই হালাল উপায়ে জবাই কার্য সম্পন্ন করতে হবে। পশু জবাই সম্পন্ন হবার পর ছুরি উঠাতে হবে।
৫. একজন ধার্মিক বয়স্ক মুসলিম দ্বারা অবশ্যই জবাই করা উচিত। একজন অমুসলিম দ্বারা জবাই করা প্রাণী হালাল হবে না।
৬. জবাই করার সময় অবশ্যই আল্লাহর নাম ডাকতে হবে: বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবর (আল্লাহর নামে; আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) ।
৭. যদি জবাইয়ের সময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নাম ডাকা হয়, তবে সেই কুরবানীর মাংস হারাম ।
৮. কোন মুসলিম জবাইয়ের সময় যদি আল্লাহর নাম ডাকতে ভুলে যায় তবে মাংস হালাল থাকবে। কিন্তু তিনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর নাম না ডাকেন, সেক্ষেত্রে মাংস হারাম হয়ে যায়।
৯. জবাইয়ের সময় পশুর মাথা পুরোপুরি কেটে আলাদা করা যাবেনা। পশু পুরোপুরি মারা যাওয়ার পরেও ছুরি মেরুদণ্ডের গভীরে ঢোকানো উচিত নয়।
১০. প্রাণী সম্পূর্ণরূপে মারা যাওয়ার আগে পশুর কোন চামড়া বা কোনো কিছুই কাটা যাবেনা।
১১. সামনের (বুক) থেকে পিছন দিকে ঘাড়ে জবাই করতে হবে। জবাই কোনো মেশিন দ্বারা করা যাবেনা।
১২. যেখানে শুকর জবাই করা হয়, এমন কোনো স্থানে পশু জবাই করা যাবেনা। শূকর জবাইয়ের জন্য যে ছুরি বা যন্ত্র ব্যবহৃত হয়, সেগুলি হালাল জবাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবেনা।